বন-বিভাগের নানা অনিয়ম দুর্নিতির অভিযোগ পীরগঞ্জের বন কর্মকর্তার বদলি 407 0
বন-বিভাগের নানা অনিয়ম দুর্নিতির অভিযোগে পীরগঞ্জের বন-কর্মকর্তার বদলি
পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:
রংপুরের পীরগঞ্জের কাদিরাবাদ বন-বিট ও উপজেলা বন-কর্মকর্তা শাজাহান আলীর বিরুদ্ধে নানা দুর্নিতি ও অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বদলি করেছে কর্তৃপক্ষ। গত ২৩মে/২১ইং তারিখে বিভাগীয় বন-কর্মকর্তার কার্যালয়, সামাজিক বন-বিভাগ রংপুর এর বিভাগীয় বন-কর্মকর্তা মতলুবার রহমান স্বাক্ষরিত ২২,০১,০০০০,২৮১,০৫,০২০,২১/১৪৮৩ নং স্বারকে তাকে বদলি করা হয়।
প্রকাশ, গত ৬ মে/২১ইং তারিখে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও প্রিন্ট মিডিয়ায় “পীরগঞ্জে বন ও রাস্তার গাছ কেটে হরিলুট , বন-কর্মকর্তাই শিয়াল পন্ডিতের ভূমিকায়!” শিরোনামে অনুসন্ধান মুলক সাংবাদিকদের সরেজমিন স্বচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। অই সব প্রতিবেদনে জানা যায়-উপজেলা বন-কর্মকর্তা শাজাহান মিয়া দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী ও বোন চোরদের সাথে যোগ সাজোশ করে প্রতক্ষ্য ও পরক্ষভাবে সরকারি বিভিন্ন রাস্তা ও কাদিরাবাদ বন-বিটের গাছ কেটে সাবাড় করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বনবিট উজাড় করছেন। এতে এলাকার কেউ প্রতিবাদ করলে উল্টো তাদের বিরুদ্ধেই গাছচুরির মামলার ভয় দেখানো হয়, ফলে কেউ প্রতিবাদ করারও সাহস পায় না। এ কর্মকর্তা উপজেলা বন-কর্মকর্তার পাশাপাশি কাদিরাবাদ বন-বিটেরও বিট-কর্মকর্তার অতিরিক্ত দ¦ায়িত্ত পালন করছিলেন। এ ছাড়াও গত ৭ মে সন্ধ্যায় কালবৈখী ঝড়ে কাদিরাবাদ বনবিটে প্রায় ৩০টি বড় ইউক্যালিপ্টাস ও অকাশমনি গাছ উপড়ে পড়লে, এ বন কর্মকর্তা তাৎক্ষনিক এলাকার ৮-১০জন পেশাদার বনচোরকে ডেকে আরও প্রায় ৫০-৬০টি বড় বড় দাড়ানো গাছ কর্তন করে ট্রলিযোগে পাচার করে। আর নাম মাত্র ৮-১০টি উপড়ে পড়া ছোট গাছ বনবিট অফিসে জমা রাখে। এর প্রতিবাদ করায় এ কর্মকর্তা ইয়াকুব আলী নামে এক ব্যাক্তিকে বনচুরি মামলার হুমকি দেন। অনুরুপ গত ৪ এপ্রিল কালবৈখী ঝড়ে প্রায় শতাধিক বনের গাছ উপড়ে পরলে তাও এলাকার কিছু কাঠ ব্যবসাীদের ডেকে বিক্রি করেন বলে জানান হাসার পাড়ার ইলিয়াস, কাদিরাবাদের মজনুমিয়া, কোচার পাড়ার ইন্তাজ আলীসহ আরও অনেকে। ইহা ছাড়াও মদনখালি ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল আলম ও টুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সহ স্থানীয় গন্যমান্য একাধিক ব্যাক্তির অসংখ্য তথ্যবহুল নানা দুর্নিতী এবং অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরেন প্রতিবেদকগন। তথ্যবহুল এ প্রতিবেদন গুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় গোপনে প্রাথমিক তদন্তে নামে কর্তৃপক্ষ। আর প্রাথমিক তদন্তে নেমে এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আরও লোমহর্ষক অনিয়মের সত্যতা বেরিয়ে এসেছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিশ্চুক সংশ্লিষ্ট এক উর্ধতন কর্মকর্তা। ফলে কর্তৃপক্ষ এ দুর্নিতীবাজ কর্মকর্তা শাজাহান আলীকে কাদিরাবাদ বন-বিট থেকে বদলি করে পীরগাছা উপজেলার এসএফএনসিটি এর ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তার দেয়া দিয়েছে। অপরদিকে কাদিরাবাদ বন-বিটে আবুজার গফ্ফরীকে বিট-কর্মকর্তার দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি আরও উলেখ করেন যে, বন কর্মকর্তা শাজাহান আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের তদন্ত চলমান রয়েছে, তবে অপরাধের পাল্লা ভাড়ী হইলে চাকুরিচ্যুত হওয়ার আশংকাও রয়েছে পচানব্বই ভাগ।